ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য – Amazing Facts about Dragon Triangle in Bengali
ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য – Amazing Facts about Dragon Triangle in Bengali : আমরা সবাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কথা জেনেইছি। জাহাজ বা বিমান- ওই অঞ্চলে ঢুকে পড়লেই অদৃশ্য হয়ে যায়! তবে এবার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতোই আরেকটি বিস্ময়কর স্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে। সে অঞ্চলটি জাপানে। অঞ্চলটি সবাই চেনে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল (Dragon Triangle) নামে।
শুকতারা Tv র এই পর্বে জানব ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল (Dragon Triangle) আশ্চর্যজনক তথ্য সম্পর্কে।
ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে অজানা তথ্য – Amazing Facts about Dragon Triangle
চীনের বিশ্বাস অনুযায়ী, পাতালে ড্রাগন বাস করে। সেই মিথ থেকেই এই রহস্যময় অঞ্চলের এমন নামকরণ করা হয়েছে। এখানকার সমুদ্র অশুভ শক্তির আস্তানা, এমন মিথই গড়ে উঠেছে। তাই একে ডেভিলস সি-ও বলা হয়। এটি জাপানের দক্ষিণে টোকিও থেকে ১০০ কি.মি দূরে এই রহস্যময় স্থান অবস্থিত। সে সময়ে বেশকিছু বড় বড় জাহাজ এ অঞ্চলের কাছে আসতেই অদৃশ্য হয়ে যায়। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরে সব মিলিয়ে ৯টি জাহাজ হারিয়ে যায়। অথচ সব ক’টি জাহাজেই রেডিও ট্রান্সমিটার ছিল। কিন্তু কোনোটা থেকেই কোনো রকম বার্তা আসেনি। জাপান সরকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাইয়ো মারু নামের একটি জাহাজ পাঠায় ওই অঞ্চলে,সেখানে নাকি বিজ্ঞানীরাও ছিলেন। কিন্তু সেটিও আর ফিরে আসেনি, অনেকটা বারমুড়ার নাইটিন ফ্লাইটের মতই। অনেক পরে সেই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু জাহাজে থাকা ৩১ জন নাবিকের কোনো সন্ধান মেলেনি। কী কারণে ওই অঞ্চলে জাহাজ বা বিমান অদৃশ্য হয়, তা অবশ্য সঠিকভাবে জানা যায়নি আজও। তবে তড়িচ্চৌম্বকীয় তরঙ্গের তত্ত্বই এখনো পর্যন্ত জোরালো। যা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ক্ষেত্রেও বলা হয়ে থাকে। পাশাপাশি নানা মিথ তৈরির পেছনে আসল ঘটনা ঢাকা পড়ে যায়, যার কারণে প্রকৃত কারণ মানুশষ বিশ্বাস করতে ইচ্ছুক নয়। সেই পঞ্চাশের দশক থেকেই নাকি এখানে অসংখ্য জাহাজ উধাও হয়ে গেছে। খোঁজ করতে গিয়েও নাকি ফিরে আসেননি কেউ। তাই এ অঞ্চলকে এশিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলও বলা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাগুলোর পর থেকে জায়গাটি ঘিরে আতঙ্কের রেশ ক্রমে বাড়তে থাকে। পাশাপাশি শুরু হয় ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলর ভুতুড়ে কাণ্ডের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা। কেউ বলেছেন, তড়িচ্চৌম্বকীয় তরঙ্গের কথা। কেউ কেউ আবার সময় ভ্রমণের তত্ত্ব হাজির করে ওই অঞ্চলে টাইম লুপ খুঁজে পেয়েছেন। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ১০০ কিমি দূরে মিয়াকের কাছেই নাকি আজব সব ঘটনা ঘটে। সেই পঞ্চাশের দশক থেকেই নাকি এখানে অসংখ্য জাহাজ উধাও হয়ে গেছে। খোঁজ করতে গিয়েও আর নাকি ফিরে আসেননি কেউ। তাই এশিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলও বলা হয়ে থাকে জাপানের এই ডেভিল সি-কে। জাপান ও ফিলিপিন্সের সীমান্তে জাপানের ইয়োকাহামা থেকে ফিলিপিন্সের গুয়াম পর্যন্ত, গুয়াম থেকে মারিয়ানা, আবার সেখান থেকে ইয়োকাহামা পর্যন্ত এই -মা নো উমি- বা ডেভিল সি-র ড্রাগন ট্রায়াঙ্গলে নাকি অশুভ আত্মারা রয়েছে, অনেকেই এমনটা বলে থাকেন। ১৯৫২-১৯৫৪ সালে নাকি পরপর বেশ কয়েকটি জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় ৭০০ জন সেনাও গায়েব হয়ে যান। কারও নাকি আর খোঁজই মেলেনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও নাকি ৫০০টি বিমান, ১০টি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি নৌ-যান ওই এলাকাতেই ধ্বংস হয় বা হারিয়ে যায়। আবহাওয়া একেবারেই প্রতিকূল ছিল না, তাও নাকি ওই এলাকার আশপাশে এলেই জাহাজ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রেডিও সিগন্যালে নাকি বার্তা পাওয়া যায়নি। -এর রহস্য নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা। নানা ব্যাখ্যা। পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে নানা যুক্তি। ৩১ জন বিজ্ঞানীর খোঁজ না মেলার কথা রটে যাওয়ার পর থেকেই অনেকেই বলতে থাকেন সমুদ্রের তলদেশে নাকি ড্রাগন রয়েছে। সেই থেকে নাম ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল। তবে ঠিক কবে থেকে ডেভিল সি-র এই অংশকে ড্রাগনস ট্রায়াঙ্গল বলা শুরু হল, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ১৯৫২-৫৪ সাল নাগাদ নাকি পরপর বেশ কয়েকটি জাহাজ হারিয়ে যায়। এ সময় প্রায় ৭০০ সৈন্যও গায়েব হয়ে যান। কারও নাকি আর খোঁজই মেলেনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও নাকি ৫০০টি বিমান, ১০টি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি নৌযান ওই এলাকায়ই ধ্বংস হয় বা হারিয়ে যায়। রহস্য সন্ধানে কায়ো মারু নামে একটি জাহাজ পাঠিয়েছিল জাপান। সেখানে নাকি বিজ্ঞানীরাও ছিলেন। কিন্তু রহস্যভেদ করতে গিয়েও তারাও আর ফিরে আসেননি। ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল – এর রহস্য নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা, নানা ব্যাখ্যা। পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে নানা যুক্তি। ৩১ জন বিজ্ঞানীর খোঁজ না মেলার কথা রটে যাওয়ার পর থেকে অনেকেই বলতে থাকেন, সমুদ্রের তলদেশে নাকি ড্রাগন রয়েছে। সেই থেকে নাম ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল।
এমনটাও বলা হয়, কুবলাই খাঁ নাকি ১২০০ সালে ওই এলাকা দিয়ে জাহাজ নিয়ে যাচ্ছিলেন, তারপর নাকি জাহাজের ৪০ হাজার আরোহী সমুদ্রেই নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৮০০ সালে এক রহস্যময়ী নারীকে নাকি ওই এলাকায় জাহাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এরপর আরও নানা মিথ রটতে থাকে কয়েক দশক ধরে। ১৯৮৯ সালে চার্লস বার্লিৎজ নামে এক লেখক দ্য ড্রাগনস ট্রায়াঙ্গল বইয়ে লেখেন পঞ্চাশের দশকে জাহাজডুবি ও সেনা নিখোঁজের কথা। ১৯৯৫ সালে ল্যারি কুশে নামে এক লেখক বলেন, কায়ো মারু ১৯৫২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ধ্বংস হয়। পরে ধ্বংসাবশেষ মিলেছিল। ল্যারিই বলেন, এই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের নৌকা নিখোঁজ হয়েছিল, জাহাজ নয়। ল্যারি বলেন, অগ্ন্যুৎপাত ছাড়াও ভূমিকম্পের প্রবণতাও রয়েছে এই সব এলাকায়। সব মিলেই অশুভ আত্মার কথা রটে গিয়েছিল। আর ছোট মাছ ধরার নৌকা গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। ইভান টি স্যান্ডারসন বলেন, এটি বিশ্বের ১২টি ভাইল ভর্টেক্সের অন্যতম। ১৯৭২ সালে লন্ডনের সাগা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত দ্য টুয়েলভ ডেভিলস গ্রেভ ইয়ার্ডস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড বলছে, পৃথিবীতে মোট ১২টি জায়গায় তীব্র চৌম্বকীয় আকর্ষণ অনুভূত হয়। আর ডেভিলস সি ড্রাগন ট্রায়াঙ্গলও তাই। সায়েন্টিফিক আমেরিকানের তথ্য অনুযায়ী, ড্রাগন ট্রায়াঙ্গলের এই স্থানটিতে প্রায় ৩৭ হাজার মাইল এলাকা জুড়ে গভীর সামুদ্রিক খাদ রয়েছে এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে গরম লাভা ও কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে। এছাড়াও ৫০-এর দশকে রেডিও সিগন্যাল ব্যবস্থা শক্তিশালী ছিল না। তাই ওই ঘটনাগুলো রটে যায়। [নোটঃ ল্যারিই, ইভানের মতই আরো কিছু বিজ্ঞানী আছেন যারা পৃথিবীকেও প্ল্যাট মনে করেন, উল্লেখ্য যে ঐ খানে হারিয়ে যাওয়া সৈন্যবহর, জাহাজ, বিমান ইত্যাদির কথা উপেক্ষা করে তিনি কিছু তুচ্ছ ঘটনাকে ব্যাখা করেছেন যা মোটেই ডেভিল-সির সাথে সামঞ্জস্য নয়]। তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতো ড্রাগন ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বিপরীত মতও রয়েছে। যারা ভিন্নমত পোষণ করেন তাদের দাবি এগুলো আসলে কাল্পনিক। যদিও সব ঘটনার ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি, তবুও ড্রাগনস ট্রায়াঙ্গল নিয়ে তৈরি নানা মিথের সদুত্তর এ বার পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য – Amazing Facts about Dragon Triangle in Bengali Q&A
- ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল (Dragon Triangle) কি?
Ans. আমরা সবাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কথা জেনেইছি। জাহাজ বা বিমান- ওই অঞ্চলে ঢুকে পড়লেই অদৃশ্য হয়ে যায়! তবে এবার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতোই আরেকটি বিস্ময়কর স্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে। সে অঞ্চলটি জাপানে। অঞ্চলটি সবাই চেনে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল (Dragon Triangle) নামে।
- ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলের (Dragon Triangle) নামকরণ কিভাবে হয়েছে?
Ans. চীনের বিশ্বাস অনুযায়ী, পাতালে ড্রাগন বাস করে। সেই মিথ থেকেই এই রহস্যময় অঞ্চলের এমন নামকরণ করা হয়েছে।
◆ আরও দেখুন :-
- রাজধানী দিল্লি (ভারত): ইতিহাস, নদী, পাহাড়, ঐতিহাসিক স্থান, জনসংখ্যা
- সুয়েজ খাল – দৈর্ঘ্য, গভীরতা, অবস্থান, খননকার্য, অর্থনৈতিক প্রভাব
- সাহারা মরুভূমি – পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বালির স্তূপ, বিস্তার ও আয়তন
- মিশরের পিরামিড – নির্মান করার রহস্য ও ভেতরের দৃশ্য | খুফু’র পিরামিড
- ফারাক্কা বাঁধ – নির্মাণের ইতিহাস, চুক্তি ও ক্ষয়ক্ষতি
- সুন্দরবন – পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন
আশা করি এই পোস্টটি বা ” ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য – Amazing Facts about Dragon Triangle in Bengali ” থেকে আপনি উপকৃত হবেন। প্রতিদিন এরম আশ্চর্যজনক, রোমাঞ্চকর, অজানা এবং অদ্ভুত বিষয় সম্পর্কে জানতে এই SuktaraTv.com ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।